চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদীর তীরে বন বিভাগের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট উজাড় করে ও নদী দখল করে কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডসহ আশপাশের সকল স্থাপনার নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার কর্ণফুলী নদীসহ অন্যান্য নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় দখল ও দূষণ সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভা শেষে ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী এ নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। এ সময় তিনি এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আগামী সাত দিনের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
কর্ণফুলী নদীকে বাংলাদেশের লাইফ লাইন উল্লেখ করে ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, এই নদী দিয়ে দেশের ৯৫ শতাংশ আমদানি-রফতানি পরিচালিত হয়। কর্ণফুলী নদীর প্রবাহ বা নাব্যতা যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মঙ্গলবার সকালে আনোয়ারার বদলপুরা এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির পাশে কর্ণফুলী ড্রাইডকসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আমরা সরেজমিনে ঘুরে ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি এই প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলী ড্রাইডকের বিষয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হবে। টিম গঠন এবং টিমের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
সভায় পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাসস
Leave a Reply